Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ইতিহাসের পাতা হতে নেওয়া অজানা একটি স্মৃতি বিজড়িত ঘটনা

প্রকাশিত তারিখ: ৪ মে ২০২৩ ইং। প্রকাশিত সময়:০৮:৪৬ AM নিজস্ব রিপোর্টার: সোহানুর রহমান (সজীব) ইতিহাসের পাতা হতে নেওয়া অজানা একটি স্মৃতি বিজড়িত ঘটনা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ রেল সেতুটি পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি থেকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলা পর্যন্ত যুক্তকারী একটি রেলসেতু। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলসেতু হিসেবে পরিচিত। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে এই সেতু নির্মাণের সমীক্ষা শুরু হয়। ১৯১০-১১ খ্রিষ্টাব্দে পদ্মার দুই তীরে সেতু রক্ষার বাঁধ নির্মাণ হয়। ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে সেতুটির গাইড ব্যাংক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি সেতুর গার্ডার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। গার্ডার নির্মাণের জন্য কূপ খনন করা হয়। ২৪ হাজার শ্রমিক দীর্ঘ ৫ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের ভাইসরয় ছিলেন লর্ড হার্ডিঞ্জ। তার নামানুসারে সেতুটির নামকরণ করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রীজ। সেতুটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৫১ লক্ষ ৩২ হাজার ১ শত ৬৪ টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৮ শত ফুট। ব্রিজটিতে ১৫টি স্প্যান আছে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেতুটিতে বোমা ফেলা হলে ১২ নম্বর স্প্যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পদ্মার ওপারের মানুষের সাথে এপারের মানুষের। রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, তখন এগিয়ে আসে ভারত সরকার। ১৯৭২ সালে ভারতের সহায়তায় টেম্পোরারি সেতু চালু করা হয়, অন্য এলাকা থেকে একটা স্প্যান এনে । সিঙ্গেল লাইন চালু হয়েছিল । পরে ১৯৭৪ সালে ভারত থেকে নতুন ভাবে একটা স্প্যান এনে ভাল ভাবে ডাবল লাইন সেতু চালু করে হয়। দুর্লভ এই ছবিটা স্বাধীনতার পর পর টেম্পোরারি ভাবে চালু হওয়ার চিত্র, লোকোমোটিভ হিসেবে ছিল ৬১১৪ ছবি- সংগৃহীত

Post a Comment

0 Comments