‘আমার বাবা একটা শয়তান, আমাকে একলা পেয়ে…’, প্রকাশ্যে মুখ খুললেন উর্ফি জাভেদ

 



‘আমার বাবা একটা শয়তান, আমাকে একলা পেয়ে…’, প্রকাশ্যে মুখ খুললেন উর্ফি জাভেদ

গত ১৫ অক্টোবর জন্মদিন গিয়েছে উর্ফির।

ইন্টারনেটের হট সেনসেশন হিসেবে বরাবরই ওপরের দিকে নাম যায় উরফি জাভেদের (Urfi Javed)। প্রতিনিয়ত আজব আজব পোশাক পরে ইন্টারনেটে অবতীর্ণ হয়ে রীতিমতন ঝড় তোলেন এই বিগবস ওটিটি খ্যাত অভিনেত্রী। ফ্যাশনের দিক দিয়ে তাঁকে টেক্কা দেওয়া বড়ই মুশকিল। না কোনও ডিজাইনার দিয়ে নয়, নিজের পোশাক নিজেই তৈরি করেন অভিনেত্রী। তাঁর পুরোনো পোশাকের ওপর দিয়ে কাঁচি চালিয়েই এহেন পোশাক আবিষ্কার করেন উরফি। খোলামেলা পোশাকে তাঁর জুড়ি মেলা ভার।

কখনও মোজা দিয়ে পোশাক বানাচ্ছেন তিনি আবার কখনো ক্যান্ডি দিয়ে উদ্ভট উদ্ভট পোশাক বানিয়ে তা পরিহিত অবস্থায় নেটিজেনদের নজর কাড়ছেন অভিনেত্রী।তাতে নেটাংশের কাছে শুধু প্রশংসিত হচ্ছে তিনি তা নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ তাঁকে ট্রোলিংয়ের নজরেই দেখেন। সম্প্রতি ২৫-এ পা দিলেন উরফি জাভেদ। গত ১৫ অক্টোবর জন্মদিন গিয়েছে তাঁর, প্রথা অনুযায়ী ১৪ অক্টোবর রাতেই কেক কেটে বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিন সেলিব্রেট করেছেন উরফি। তবে জন্মদিনের দিন ‘নো ডায়েট’, সেই কথাই একেবারে ঘটা করে জানিয়েছিলেন উরফি। আজ তিনি ফ্যাশন আইকন হিসেবে পরিচিত হলেও উরফির যাত্রাপথ মোটেই সহজ ছিল না তাঁর। একসময় নাকি, তাঁর নিজের বাবাই তাঁকে শারীরিক, মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।

একবার নিজেই প্রকাশ্যে এনে জানিয়েছিলেন,
‘এই যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না, কারণ, আমি আমার পরিবারকে পাশে পাইনি। মাত্র ১১ বছর বয়সেই আমার ছবি অ্যাডাল্ট সাইটে পোস্ট করা হয়েছিল। একসময় আমার পরিবারই আমার দিকে আঙুল তুলেছিল। আত্মীয়রা আমাকে পর্নস্টার বলে ডাকতেও পিছপা হননি। ওঁরা ধরেই নিয়েছিলেন আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চোখ রাখলে হয়ত কোটি টাকা পাওয়া যাবে। টানা দু’বছর আমার বাবা শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়েছিল। লোকজন আমায় এমন খারাপ শব্দে ডাকত, যে নিজের নামটাই ভুলতে বসেছিলাম, আমি যেভাবে কাটিয়েছি, তা যেন কোনও মেয়ের সঙ্গে না ঘটে।

উর্ফি আরও জানিয়েছেন, ‘আমার বাবা যখন আমার উপর অত্যাচার চালাত, তখন আমার কথা বলার অধিকার ছিল না। আমাকে সবসময় বলা হত, এধরনের মেয়েদের কোনো কথা বলার অধিকারই নেই, শুধুমাত্র পুরুষরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এই অবস্থাতেই আমি বাড়ি ছেড়েছিলাম, এবং পরিবারের থেকে অনেক দূরে নিয়ে চলে যাই। তবে এখন আমি নিজের পরিচিতি তৈরি করেছি এবং আমি আর থামবার পাত্রী নই।’ তবে তিনি যখন বাড়ি ছেড়েছিলেন তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই বোন, বাবা-মা। বাড়ি ছেড়ে দিল্লিতে এসে প্রায় ১ সপ্তাহ একটা পার্কেই কাটিয়েছিলেন তিনি। এরপর তিনি চাকরি খুঁজতে শুরু করলে একটি কল সেন্টারে চাকরি মেলে তাঁর। পরবর্তীকালে তাঁর বাবা আরও একটি বিয়ে করে তাঁদের ছেড়ে চলে যায়। তবে মা, ভাই-বোনেদের নিয়ে নতুন জীবন শুরু করেন তিনি। পরবর্তীকালে দিল্লি ছেড়ে মুম্বই চলে আসেন। এরপরই ফ্যাশান ডিজাইনের সহকারী হিসাবে কাজ শুরু করার পর বদলাতে শুরু হয় তাঁর জীবন

Post a Comment

0 Comments